ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠকের খোরাক সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
পাঠকের খোরাক সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি-ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টা। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে পত্রিকা পড়তে দেখা গেল বেশ কয়েকজন পাঠককে।

আবার এ’ র‌্যাক থেকে ও’ র‌্যাকে ঘুরে প্রয়োজনীয় বই ‍খুঁজছেন কেউ কেউ। এদেরই একজন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শুশান্ত মণ্ডল।

বাংলানিউজকে তিনি জানালেন, প্রায় প্রতিদিনই পড়াশুনা ও টিউশনির ফাঁকে লাইব্রেরিতে আসেন তিনি। গ্রন্থাগারে পত্রিকা পড়ছেন কয়েকজন-ছবি: বাংলানিউজতবে, বেশির ভাগ সময়ই পত্রিকা পড়তে আসা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অল্প সময় পাই, তাই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়া হয় কম। ঠিক একইভাবে নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসেন আজিজুর রহমান। পত্রিকা পড়ার পাশাপাশি ম্যাগাজিন পড়তে পছন্দ করেন তিনি। আর এভাবেই পাঠকের খোরাক যুগিয়ে চলেছে জেলা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, দৈনিক দেড় থেকে দুইশ’ পাঠক সমাগম ঘটে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে।

সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান সৈয়দ আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে স্থানীয় লেখকদের বইসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিশু সাহিত্য, দর্শন, খেলাধূলা, বাণিজ্য, ধর্মীয়, ভ্রমণ কাহিনী, আত্মজীবনী, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের ৮১৪৮টি বই রয়েছে।

এছাড়া পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী, জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয়, সাপ্তাহিক, মাসিকসহ নিয়মিত ১৮টি পত্রিকা রাখা হয়। আগে স্থানীয় পত্রিকা রাখা হতো না। এখন সব স্থানীয় পত্রিকা রাখা হয়। গ্রন্থাগারে পত্রিকা পড়ছেন কয়েকজন-ছবি: বাংলানিউজতিনি আরো জানান, আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি ওয়াইফাইসহ একটি কম্পিউটারও স্থাপন করেছে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবাই পান এই সুবিধা।

কোন শ্রেণির পাঠক বেশি আসে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে পত্রিকার পাঠকই বেশি। টেবিল, চেয়ার, ফ্যানসহ আলোকোজ্জ্বল পরিবেশ থাকলেও বই পড়ার মানুষ কম। নারী পাঠক তো সপ্তাহে ১০-১২ জনের বেশি হয়ই না।

আর লাইব্রেরি পরিচালনার বিষয়ে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে জ্ঞানের আলো ছড়াতে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি বেশি ভূমিকা রাখছে।

এজন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাঠকসহ সাধারণ মানুষকে লাইব্রেরিমুখী করতে জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালন, সাহিত্য আড্ডা, সভা-সেমিনারসহ নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও খবর...
** ‘জনবল ও অর্থ সংকটে’ বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার
** খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের দুর্দশা চরমে
** ময়মনসিংহের আলোর পাঠশালায় দু’দিন তালা!
** বরিশাল গণগ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষও বেহাল!
** গরুর অভ্যর্থনা মৌলভীবাজার গণগ্রন্থাগারে!
** ফেনীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে জম্পেশ আড্ডা
** মানিকগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার কুকুরের বিচরণক্ষেত্র!
** সপ্তাহে ৩ দিনই ছুটি দিনাজপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে!‍
** কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির হালচাল
** পাঠকের খোরাক সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।