ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অভিভাবক ঢুকতে মানা তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
অভিভাবক ঢুকতে মানা তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক ঢুকতে মানা তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: ক্লাস চলাকালীন স্কুলের এরিয়ায় ঢুকতে পারেন না ঢাকা তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অভিভাবকরা। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেট এলাকার অদ‍ূরে এ বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। ফলে ছোট বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য অভিভাবকরা প্রতিদিন ভিড় জমান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

 

কিন্তু বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ায় রোদ কিংবা বৃষ্টিতে গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এদিকে গেটের বাইরেও বসার তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দক্ষিণ পাশে একটি যাত্রী ছাউনি থাকলেও সেখানে ড্রেনের দ‍ুর্গন্ধে বসতে পারেন না অভিভাবকরা। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অনেক অভিভাবকের ভিড়ে কোনো দুষ্কৃতকারী ভিতরে ঢুকে যেন ছাত্রীদের বিপদের কারণ না হয় এজন্যই এ ব্যবস্থা।

খাদিজা বেগম নামে এক অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটা ছোট। তাকে একা একা স্কুলে ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই প্রতিদিন আমিই নিয়ে আসি, আবার ছুটি হলে নিয়ে যাই। স্কুলের ভিতরে অভিভাবকদের জন্য বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া আমাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। বাইরে রেখে গেটে তালা লাগিয়ে রাখেন দারোয়ান।
তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের ভিড়।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য আরেক ছাত্রীর মা বাংলানিউজকে বলেন, ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ায় আমাদের এভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার স্কুলের সামনের ড্রেন বন্ধ হওয়ায় খুব দ‍ুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে এখানে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছি আমাদের জন্য ভিতরে একটু বসার ব্যবস্থা করতে, কিন্তু তারা করছেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা অভিযোগ স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা স্কুল এরিয়ায় কোনো অভিভাবককে ঢুকতে দেই না। স্কুলে বর্তমানে ২১শ ৩০ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন অনেক অভিভাবক আসেন। অভিভাবকদের ভিড়ে কখন কে স্কুলে প্রবেশ করে ছাত্রীদের জন্য বিপদের কারণ হয় সেটা বোঝা মুশকিল। এজন্য আমরা কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেই না।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি স্কুলের বাইরে ফুটপাত প্রশস্ত করে সেখানে একটি বড় যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যাতে সেখানে অভিভাবকরা বসতে পারে। এছাড়া ড্রেন পরিষ্কারের জন্যও নোট দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এসআইজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।