ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাবে না জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাবে না জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী! বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো- সংগৃহীত

ঢাকা: উচ্চশিক্ষা স্তরে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য এইচএসসি উত্তীর্ণদের আসন সংকট হবে না। তবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হবে উত্তীর্ণদের।
 
 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় আসন ৯ লাখের বেশি। এরমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই আসন ছয় লাখ ৩৬ হাজারের মতো।

 
 
রোববার (২৩ জুলাই) প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের ফলাফলে দেখা যায়, দশটি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮ লাখ ১ হাজার ৭৭১ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন।
 
জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের অধিকাংশের পছন্দের তালিকায় থাকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগরসহ বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মেডিকেলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে।  
 
সরকারি সাধারণ (মেডিকেল বা বিশেষায়িতগুলো নয়) বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো আসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান।  
 
তিনি বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২২শ’ কলেজে রয়েছে তিন লাখ ৯৮ হাজার ৯৩০টি আসন। আর অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩৮ হাজার ৫০০।  
 
উল্লেখযোগ্যগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় হাজার ৬৮৮টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চার ৭২২টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ৬৭৪টি, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭৭টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৬৫৫টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ২০০টি আসন রয়েছে।  
 
ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান, ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী নেই। তবে এবার স্বল্প পরিসরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতে পারে।   
 
আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার আসন। সব মিলে ছয় লাখ সাড়ে ৩৬ হাজার আসন।  
 
এর বাইরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আসন রয়েছে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, কিছু শিক্ষার্থী স্টাডির জন্য বিদেশ যায়। আবার অনেকের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।  
 
ফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এমন ভালোমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি নিয়ে আসন সংকট থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।  
 
ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষায় মোটামুটি আসন পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।  
 
সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন রয়েছে দুই হাজারের বেশি আসন। বুয়েটে রয়েছে এক হাজার ৩০টি। জিপিএ-৫ পাওয়া বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ও অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ভর্তির ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়।  
 
আর বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভালোমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসন সংকট হওয়ায় বাধ্য হয়েই মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিশাল অংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তবে এবছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সহজেই ভর্তি হতে পারবে।  
 
অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। এরইমধ্যে সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটি। সম্ভাব্য তারিখ অনুযায়ী, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  
 
পরীক্ষকদের ‘জবাবদিহির ভয়ে’ কমেছে পাস ও জিপিএ-৫!
পাসের হার কমার কারণ খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭ 
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।