ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে নীল দলে ভাঙনের সুর, একাংশের কমিটি ঘোষণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
জবিতে নীল দলে ভাঙনের সুর, একাংশের কমিটি ঘোষণা

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলে শোনা যাচ্ছে ভাঙনের সুর। কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এতে সংগঠনটির চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষকরা।

জানা যায়, আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি পক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের পক্ষে থাকলেও অন্য আরেকটি পক্ষ এতে নারাজ। তারা চায় দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে গঠন করা হোক নীল দলের কমিটি।

ফলে এক পক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করলেও তা মানেনি অন্য পক্ষ। উল্টো বুধবার নির্বাচন ছাড়া নীল দলের একটি কমিটি ঘোষণা করেছে একটি পক্ষ।  

ফলে এতদিন নীল দলের দুটি পক্ষের কথা লোকমুখে প্রচারিত থাকলেও এখন তা সবার সামনে উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সাদা দল অংশ না নেওয়ায় এতদিন নীল দল থেকে দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। তখন কেউ কেউ একে নির্বাচনী সংষ্কৃতি চালু রাখার জন্য করা হয় বলে চালিয়ে গেলেও এবার তা প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে রূপ নিয়ে বিভক্তির রূপ প্রকাশ করলো বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।

এদিকে, নীলদলের একাংশের ভোট বিরোধী পক্ষের কর্ণধার অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ্ এবং ড. মো. আতিয়ার রহমানের পক্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ সালের জন্য নীল দলের ১৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।  

এতে কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্মামী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল-মাসুদ।

কিন্তু নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে বাংলানিউজকে জানান।  

তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন পক্রিয়া চলমান রয়েছে। কে বা কারা নতুন একটি কমিটি ঘোষণা করেছেন এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

২০১৬-২০১৭ বছরের কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, নীল দলের সাংবিধানিক ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আমাগী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই কমিটি কিভাবে ঘোষণা করা হলো তা আমার বোধগোম্য নয়। এ কমিটির কোনো বৈধতা নেই। নির্ধারিত দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অপরদিকে নবগঠিত কমিটির বিষয়ে ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ্ বলেন, আমরা নির্বাচন ছাড়া সমোঝোতা করে কমিটি ঘোষণা চেয়েছিলাম। কিন্তু অন্য পক্ষের শিক্ষকরা আমাদের সমঝোতার ডাকে সাড়া দেননি। তাই আমরা আমাদের পক্ষ থেকে এ কমিটি ঘোষণা করেছি।

হঠাৎ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি ড. মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, একই আদর্শের সংগঠনে আমরা নির্বাচন চাইনি। কিন্তু শিক্ষকদের একটি পক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে। তাই আমরা নিজেদের কমিটি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ডিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।