ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবিতে শিক্ষক দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
বেরোবিতে শিক্ষক দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বেরোবিতে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের মানববন্ধন

বেরোবি (রংপুর) : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)  উপাচার্য গ্রুপ হিসেবে পরিচিত প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও বিরোধী গ্রুপ  নীল দল একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর)  দুপুরে নীল দলকে উদ্দ্যেশ্য করে ক্যম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। পরে বিকেলে নীল দল এক বিজ্ঞপ্তিতে  প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের  বিরূপ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

 

শিক্ষকদের দুই গ্রুপের এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ। যে কোনো সময় ক্যাম্পাসে বড় ধরনের অঘটনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর নীল দলের আয়োজনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও রেজিস্টারের অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে  বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে নীল দলের বিরুদ্ধে  বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে মানবন্ধনের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব  রাফিউল আজম খানের সঞ্চালনায় ও  আহবায়ক ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন-  বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এইচ. এন তারিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাইদুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রমুখ।  
বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় যখন সুন্দর ভাবে চলছে তখন একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আগামী ২৬-৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এমন অবস্থা চললে ইমেজ সংকটে পরবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি।

নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকে নানান সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে দাবি করে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, জামায়াত- শিবিরের দোষররা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য সুকৌশলে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান উপাচার্য বিগত উপাচার্যদের চেয়ে অনেক বেশি আন্তরিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করছেন।  এই বিশ্ববিদ্যালয়কে  বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন বক্তারা।

বক্তারা এ সময় কেউ যদি আর কখনো এই ক্যাম্পাসে আন্দোলন করার চেষ্টা করে তাহলে ক্যাম্পাসে কঠোর হস্তে দমন করার  হুমকি দেন।
 
এদিকে মানববন্ধনে  নীল দল সর্ম্পকে বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগ এনে প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দাজ্ঞাপন করেছে নীল দল। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা জানায় দলটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় মানবন্ধনে শিক্ষকদের বক্তব্য প্রমাণ করে, নীল দলের উল্লেখিত মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই  মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে । মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কোনোরূপ দাবি না জানিয়ে শুধু নীল দলকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ও বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষকদের প্রতি কটাক্ষ করে শিষ্টাচার বহির্ভূত তাদের বক্তব্য আমাদের ভীষণভাবে আহত করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬,২০১৭ 
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।