মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা সদরের চিতলী বৈটপুরে অবস্থিত ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করে। একই দাবিতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী মাহামুদ শিমুল, আব্দুল্লাহ সবুজ, প্রন্ত চন্দ্র, বাপ্পি সাহেবসহ আরও কয়েকজন জানান, অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলাম হোস্টেলের রুমে ভাড়ার বিনিময়ে বহিরাগত লোকদের রাখেন। যার কারণে কলেজের শিক্ষার্থীদের হোস্টেলের সিটের অভাবে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়।
গ্যাস বাবদ বাৎসরিক ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বাজেট থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গ্যাস বিল দেন তিনি। পানির প্লান্ট থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পানির পাম্প পরিচালনার জন্য বাজেট থাকলেও লোক নেই। কাগজে কলমে ক্লিনার থাকলেও বাস্তবে ক্লিনার পদে কোনো লোক নেই। হাউজ কিপিং এর জন্য ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাউজ কিপিং করানো হয়।
এ বাবদ ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি থেকে টাকা কেটে রাখেন অধ্যক্ষ।
এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র হোস্টেলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অফিস সহায়ক রবিউল ইসলামকে (৪০) মারধর করেন এবং ইনস্টিটিউটের সিসি টিভি ক্যমেরা ভাঙচুর করেন। রবিউল এখনও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, কিছু শিক্ষার্থী অযথা এ বিক্ষোভ করেছে। আমি কোনো রকম অনিয়ম-দুর্নীতি করি নাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ ঝামেলা তারা নিজেরা সমাধান করবেন। ঘটনার পরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
আরবি/