বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি খায়ের হোসেনকে আহবায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অন্যন্য সদস্যরা হলেন আলমগীর হোসেন আলো, মো. সবুজ আলী ল, আরব হোসেন।
জানা যায়, শনিবার (৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সভাপতি শাহিনুর রহমান গ্রুপের কর্মী আলামিন হাসানের সাথে আইন বিভাগর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের কর্মী রিজওয়ানুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় রিজওয়ান ও তার বন্ধুরা মিলন কে মারধর করে চলে যান। পরে মিলন সাদ্দাম হোসেন হলে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে রিজওয়ানকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন।
পরে বেলা সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী হিমল চাকমা, নীল, মিজান, জসিমসহ কয়েকজন কর্মী সাদ্দাম হোসেন হলে প্রবেশ করেন।
এসময় সেখানে অবস্থান করা সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হলের করিডরে দুই গ্রুপের কর্মীদর মধ্য মারধরর ঘটনা ঘটে। এসময় হিমেল চাকমা, নীল, নাঈম, শামীমসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা বাঁস ও কাঠের লাঠি নিয়ে সাদ্দাম হলে প্রবেশ করে এবং সভাপতি গ্রুপের কর্মী নাঈমের কক্ষের (রুম নং-৩১৬) জানালা ভাংচুর করে।
পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাদ্দাম হোসেন হল ও লালন শাহ হল থেকে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা লাঠি, স্টাম্প, হকস্টিক নিয়ে বের হলে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে সভাপতি গ্রপের দুইকর্মী মিলন হাসান, জুলকার নাঈম এবং সম্পাদক গ্রপের হিমল চাকমা নাম এক কর্মী আহত হয়ছেন। তবে এর মধ্যে মিলনর অবস্থা গুরুতর বল জানা গেছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ইবি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এসআইএস