শনিবার (৩ মার্চ) বিকেলে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার কান্ডপাশা এলাকায় ফিরোজা আমু স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার অভাবে আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে গিয়ে অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে না।
আমির হোসেন আমু যোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশের ৪০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। এর দীর্ঘদিন পর শেখ হাসিনা ফের সাড়ে ২৭ হাজার স্কুলকে জাতীয়করণ, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
বাস্তবায়ন করেছেন। ’
জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন আমির হোসেন আমু, ‘সুখ-শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় সুশ্চিত করতে হবে। আমরা দেশকে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ক্ষুধা,
সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ’
স্কুল অ্যান্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ রবের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন শাহীন প্রমুখ।
পরে শিল্পমন্ত্রী নলছিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়াতনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আওতায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দুঃস্থ ও গরীব মানুষের মাঝে ৮টি ইউনিয়নের ৮১ জন এক বান্ডেল ও একটি মসজিদে তিন বান্ডেল ডেউটিন বিতরণ করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সকল জনগনকে শেখ হাসিনা তার পরিবারের একজন সদস্য মনে করে। তাই তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে থেকে তাদেরই কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ’
অনুষ্ঠানে নলছিটি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আশ্রাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মোঃ শাহআলম, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ ইউনুচ লস্কর প্রমুখ।
এদিকে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঝালকাঠি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকার নতুন চরে আগুন লেগে ৯টি বসত ঘর পুড়ে যায়। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। শিল্পমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘন্টা, ৪ মার্চ, ২০১৮
এমএস/এমআরএম/এসআইএস