সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) গভীর রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রুয়েটের শহীদ আব্দুল হামিদ হলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছয় ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় হামিদ হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
শুক্রবার সকালে হামিদ হলে গিয়ে দেখা যায়, হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর চিহ্ন রয়েছে। হলের বিভিন্ন কক্ষ ও বারান্দার জানালার কাচ এবং কয়েকটি কক্ষের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ছড়িয়ে আছে রক্তের ছাপ। পুরো হলজুড়ে লাঠিসোটা, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং বিভিন্ন স্থানে অবিস্ফোরিত পটকাও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিবে কি-না, জানতে চাইলে শহীদ আব্দুল হামিদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল আওয়াল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রুয়েটের সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, ‘রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই তারা মতিহার থানা পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা জানান। কিন্তু পুলিশ আসার পরও রাত ২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। হলের ভেতরে সংঘর্ষ চলছিলো, তারা বারবার পুলিশকে হলের ভেতরে প্রবেশ করতে বললেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ’
তবে মহানগরী মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ হলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। হলে তল্লাশি চালিয়ে আহতদের বের করে নিয়ে আসা হয়।
এখানে তাদের কোনো গাফিলতির সুযোগ নেই। বর্তমানে রুয়েট ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এসএস/জেডএস