শনিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় খুলনার সম্মিলিত মানবাধিকার পর্ষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ.ফ.ম. মহসিন।
মানববন্ধন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম ও আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খোকন।
বক্তৃতা করেন মানবাধিকার কর্মী শেখ আব্দুল হালিম, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, স. ম. হাফিজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহারা ইরানী প্রিয়া, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার খুলনার ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত, নারী সংগঠক সিলভী হারুণ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, রেজাউল আলম চৌধূরী বিপ্লব, ইসরাত হীরা, জেরিন সুলতানা এবং শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস।
মানববন্ধনে বক্তারা নারী নির্যাতনকারী ও যৌতুকলোভী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি খুবি থেকে তাকে বহিষ্কার, তার দ্বারা স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসঙ্গে বক্তারা মহানগরীর আড়ংঘাটা এলাকার আর্ধব মণ্ডলের মেয়ে নিবেদিতা মণ্ডলের হত্যাকারী স্বামীসহ অন্যদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
এর আগেও ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী জান্নাত আরা ফেরদৌস খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। জান্নাত আরা ফেরদৌস যশোর সরকারি এম এম কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাকে তোলা হয়। সেখানে মাস চারেক ভালভাবে সংসার চলে। তিনি সন্তানসম্ভবা হলে সে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করার জন্যে তাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করে। কিছুদিন পর সন্তানসহ জান্নাতকে গাজীপুরে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন এবং যৌতুক দাবি করে। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ওয়াহিদুজ্জামান। অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ জান্নাতকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তার ডিসিপ্লিন প্রধানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি একটি ভুয়া ডিভোর্স লেটার দেখায়।
জান্নাত বলেন, এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সে আমাদের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে ৭ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২৮ ডিসেম্বর হাজিরা দিতে আসলে আমিসহ আমার বাবা, ভাই ও ভগ্নিপতির নামে খুলনা থানায় জিডি করে। এভাবে সে একের পর মামলা ও জিডিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তিনি ওয়াহিদুজ্জামানের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এমআরএম/আরআর