বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বলছে, কোনো বিভাগে ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে বিভাগ চাইলে ওই পদে অস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে যে শিক্ষকের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি ছুটি শেষে বিভাগে ফিরলে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল হবে।
২০১৭ সালের ৬ মার্চ ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ৯ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা ছুটি শেষে বিভাগের দুই সহাকারী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ও সুমাইয়া ফারহানা কবির ৩১ জানুয়ারি যোগ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ দুজন স্বপদে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি চলে যাওয়ার কথা তাদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা। কিন্তু তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক মো. সিরাজুর রহমান ও মো. সাজেদুল ইসলাম এখনো বহাল রয়েছেন। তারা দুজনই এখনো বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন।
বিভাগটিতে বর্তমানে কোনো শূন্যপদ না থাকায় বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সিএনডি মিটিং থেকে এক চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত দু’জনকে বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
গত বছর মাস্টার্স শেষ না করে তিনজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনা হয়। পরে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, বিভাগের স্বার্থেই মাস্টার্স ছাড়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ