বুধবার (১৪ মার্চ) ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম তার কক্ষে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে মারধর করেন।
ঘটনার বিবরণে আনোয়ারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে না আসায় চেয়ারম্যান তার কাছে কৈফিয়ত জানতে চান। এসময় চেয়ারম্যান অনেক গালিগালাজ করে তাকে কারণ জানিয়ে দরখাস্ত দিতে বলেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক দরখাস্ত না দিয়ে ছুটির ফরম জমা দেবেন জানালে তখন অন্য সহকর্মীদের সামনে চেয়ারম্যান শার্টের কলার ধরে তাকে ধাক্কা দেন মেজবাহ-উল-ইসলাম। এসময় সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে আটকানোর চেষ্টা করেন। পরে তারা চলে গেলে চেয়ারম্যান মেজবাহ ফের আনোয়ারুলের ওপর চড়াও হন এবং তাকে লাথি ও ঘুষি দেন। মারধরের পরে বিভাগের অন্য শিক্ষকরা গাড়িতে করে আনোয়ারুলকে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এক শিক্ষক বলেন, এ ধরনের ঘটনা অন্য শিক্ষকের সঙ্গেও আগে ঘটিয়েছেন মেজবাহ।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মারধর করার প্রশ্নই ওঠে না। মিটিংয়ে অনুপস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছিল। এসময় তিনি এক্সাইটেড (উত্তেজিত) ও ইমোশনাল হয়ে যান। সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম দেখা দেয় তার। এসময় আমিও একটু ইমোশনাল হয়ে তার সঙ্গে...। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/