শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তাদের বন্ধুরা।
তারা জানান, ২১তম ব্যাচের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের দায়িত্বে থেকে টিটু ও সাইফ মিলে এ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন হিমেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের ২৫ বছর পূর্তি ‘সতীর্থ একুশ’ অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মীর মেহেদী হাসান টিটু এবং বিজ্ঞাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাইফ উদ্দিন আহম্মেদ। তারা দু’জন কৌশলে অনুষ্ঠানের অনলাইন ও অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং বিজ্ঞাপনের চেকসহ ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭শ’ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত হিসাবে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় ও ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয় দেখায়। সে হিসেবে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ঘাটতি থাকে। কিন্তু আয়-ব্যয়ের জন্য সম্মিলিতভাবে ড্যাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসেবে টাকা জমার কথা থাকলেও তারা দু’জন কাউকে না জানিয়ে এক্সিম ব্যাংকে হিসেব (হিসাব নং-০১৯১৩১০০৩৩৩৭৬৭) খুলে গোপনে আয়ের সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া টিটু অনুষ্ঠানের সব টাকা পরিশোধ করার কথা বললেও বাস্তবে সে কোনো দোকানের টাকা পরিশোধ করেনি।
আ এক বন্ধুর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে টিটু বিভিন্নজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ও চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে টিটুর বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ২১তম ব্যাচের প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাইফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি। টাকার বিষয়ে টিটু ভালো বলতে পারবে।
এ বিষয়ে মীর মেহেদী হাসান টিটুর সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
জেডএস