বুধবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে সুধারাম থানা পুলিশ পরিদর্শন করে গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানায়, গত ৪ মার্চ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে কয়েকবার প্রক্টর মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের এড়িয়ে যান। সর্বশেষ ২০ মার্চ মঙ্গলবার প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, মুশফিকুর রহমান প্রক্টর হওয়ার পর থেকেই সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তিনি সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলে বা তার মতের বাইরে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিকভাবে হয়রানি করেন। প্রায়ই সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না দেখিয়ে যখন-তখন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন এবং বহিষ্কার করেন।
এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর মুশফিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নোবিপ্রবি’র ঊপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মত। কিন্তু তাদের মধ্যে শিবির ও সন্ত্রাসী চক্রের অপশক্তি ঢুকে পড়েছে। তারা শান্তিপ্রিয় নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে কঠোর অবস্থানে আছি। কোনো অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
আরএ