দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাইসাইকেল চুরি হলেও এর কোনো সমাধান করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সামনে থেকে একটি বাইসাইকেল চুরি হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বাইসাইকেল চুরির ঘটনাটি দেখা যায়। তবে নিম্নমানের সিসি ক্যামেরার কারণে চোরের চেহারা শনাক্ত করতে পারেননি নিরাপত্তা শাখার কর্মীরা।
চুরি হওয়া বাইসাইকেলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী মো. নাবিল তাহমিদের। বিকেল ৩টার দিকে তার নীল বর্ণের রেঞ্জার ম্যাক্স সাইকেলটি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে রাখেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে কাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন ওই জায়গায় তার সাইকেলটি নেই। সাইকেল চুরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।
চুরির বিষয়ে নাবিল তাহমিদ বলেন, নিরাপত্তাকর্মী ও সিসিক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়তই বাইসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত আমার সাইকেল উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও এ মাসের ১৩ তারিখে কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের নিচ তালা থেকে তিনটি সাইকেল চুরি হয়। এছাড়াও গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক সাইকেল চুরি হয়েছে যার একটিও শিক্ষার্থীরা ফেরত পাননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, সাইকেল চুরির ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। আমরা সাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, সিসি ক্যামেরার দিকে না তাকালে তো চোরের চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব না। তবে আমরা চোরকে ধরার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
এএটি