রোববার (২৫ মার্চ) আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ক্যান্টিনে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এরপর পাঁচ দিন ক্যান্টিন বন্ধ ছিল।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট ড. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া সোমবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের কাছে দ্রুত ক্যান্টিন চালু করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামীকালই ক্যান্টিন চালু করা হবে। এরপর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও ক্যান্টিন চালু করতে পারেনি হল প্রশাসন।
হলের প্রভোস্ট বাংলানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) একজনকে ক্যান্টিনের দায়িত্বে দিয়েছি। তিনি ক্যান্টিন চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করছি দ্রুতই ক্যান্টিন চালু হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাইরের দোকান থেকে খাবার খেতে হচ্ছে। এতে প্রায় দ্বিগুন টাকা গুনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে সময়েরও অপচয় হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কয়েকদিন পরপরই ক্যান্টিনের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। প্রথম কয়েকদিন খাবারের মান ভালো থাকলেও কিছু ছাত্রনেতার ফাও খাওয়ার দরুন ক্যান্টিন মালিকরা নিন্ম মানের খাবার সরবরাহ করে।
এদিকে, সংঘর্ষের পর ক্যান্টিন পরিচালনাকারী মোহাম্মদ আলী দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ায় আগাম টাকা জমাদানকারী শিক্ষার্থীরা টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে সংশয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে আলী দাবি করেন, জমা টাকার চেয়ে বাকী টাকার পরিমাণ অনেক বেশি।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হল প্রভোস্ট পরিবর্তন হলেও হলের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। হল প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবেই বারবার এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
আরআইএস/