বুধবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় শিক্ষা সচিবসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন। বৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছর ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো।
চলতি বছর কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৫৪১টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮ হাজার ৯৪৩টি। এ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি, কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২৬জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে, যা গত বছর ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৫২১জন। অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০৫ জন।
এবার এইএচসিতে মোট অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ জন আর ছাত্রী ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৫ জন। আলিম পরীক্ষায় ছাত্র ৫৫ হাজার ৯৯২ জন, আর ছাত্রী ৪৪ হাজার ১৩৫ জন। এইচএসসি (বিএম) ছাত্র ৮৩ হাজার ২৭৩ জন, ছাত্রী ৩৪ হাজার ৪৮১ জন। ডিআইবিএস-এ ছাত্র ৮৫৩ জন, ছাত্রী ১১৬ জন।
এ বছর বিদেশে ৭টি কেন্দ্রে ২৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে ছাত্র ১৫৯ জন, ছাত্রী ১৪০ জন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবারও আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার খুদে বার্তা যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। এবার প্রশ্নের সেট নির্ধারণ হবে লটারির মাধ্যমে।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। ১ এপ্রিল সরকারি ছুটি হওয়ায় একদিন পিছিয়ে পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৪ মে ২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮/আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা
এসএম/এমজেএফ