বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। এতে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নাট্য ব্যক্তিত্ব অনন্ত হীরা ও নূনা আফরোজকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বসন্ত উৎসবের আহ্বায়ক আহসান রনি।
উদ্বোধনকালে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, বাংলাদেশে ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা সবসময় উৎসব পালন করি। আমাদের জীবনে আর্থসামাজিক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এই ধরনের অনুষ্ঠানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বসন্ত ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এটা আসলে আমাদের মাঝে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি হয়। বসন্ত জীবনের প্রতীক। এটা ঋতুর রাজা। এই বসন্ত আসলে সবার মনে আনন্দ বয়ে যায়। সবার মধ্যে তারুণ্য ফিরে আসে।
এরপর বসন্ত উৎসবের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। দুপুর ৩টায় সাংস্কৃতিক পর্বের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পুঁথিপাঠ, গম্ভীরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বিশেষ গীতিনাট্য, কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বিশেষ নৃত্যনাট্য, নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবন নিয়ে ‘নানা রঙয়ের বাংলাদেশ’,পাহাড়ি নৃত্য, লাঠিনৃত্য, পুতুল নাচ ও নাট্যদল ‘বঙ্গলোক’ এর ‘রূপচান সুন্দরীর পালা’ পরিবেশন করা হবে।
উৎসবের শেষভাগে থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল জলের গান ও গানকবি’র বিশেষ সংগীত পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি বসন্ত উৎসবে আসা দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য উৎসব প্রাঙ্গণে গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে নাগরদোলা, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, বানর নাচ, মোরগ লড়াই, বেলুন শ্যুটসহ নানা ধরনের বাঙালি খাবার ও লোকজ হস্ত ও মৃৎশিল্পের পসরা বসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এসকেবি/জিপি