বোর্ডের অধীনে ২৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭১ হাজার ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন। এর মধ্যে ছেলে ৩২ হাজার ৮৩৫ এবং মেয়ে ৩৮ হাজার ৭২৮ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডের তথ্য মতে, গতবারের তুলনায় এবার ১৮ হাজার ৫৭ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। যেখানে কেন্দ্র বেড়েছে মাত্র ২টি। গত বছর ৫৩ হাজার ৫০৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য কেন্দ্র ছিলো ৭৭টি।
এবার সিলেটের ২৯ কেন্দ্রে ১৩৯টি কলেজের ২৮ হাজার ৭৬৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। হবিগঞ্জে ১৮ কেন্দ্রে ৪৩ কলেজের ১৪ হাজার ৫৮ জন, মৌলভীবাজারে ১৩ কেন্দ্রে ৪৮ কলেজের ১৫ হাজার ২৫২ জন এবং সুনামগঞ্জে ৫৩টি কলেজের ১৩ হাজার ৪৮৬ জন পরীক্ষার্থী ১৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
বোর্ড সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আরও বলেন, এবার শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে এবং ২৫ মিনিট আগে যে প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা হবে, তার সেট কোড দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা তদারকিতে বোর্ডের ৫টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শিক্ষকদের দিয়ে আরও ১৯টি টিম গঠন করা হয়েছে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ২ এপ্রিল বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু হবে। এরইমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে মহানগর এলাকার ২০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট মহানগর পুলিশের ২০০৯ সালের ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, অস্ত্রসস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইটপাথর ইত্যাদি বহন, ব্যবহার, শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সব ধরনের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে ২০০৯ সালের ১১১ অধ্যাদেশ বলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ অস্থায়ী সংরক্ষিত এলাকায় কার্যকর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এনইউ/জেডএস