রোববার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন, শিক্ষায় করণীয়, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এ জাতীয় কনফারেন্সের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ-উজ-জামান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সম্মেলনের সারসংক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ তাহমিনা আক্তার।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। এখন সব শিশুরা স্কুলে যায়। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানোর জন্য শিক্ষক পাওয়া যেতো না। শিক্ষক পাওয়া গেলেও মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যেত না। সেক্ষেত্রে আমরা এখন অনেক দূর এগিয়েছি। এসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী ৩১ মে এর মধ্যে সারাদেশে মিড-ডে মিল কার্যক্রম শেষ হবে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে দেশে তিন কোটি নিরক্ষর মানুষ আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবসম্পদের দক্ষতা অর্জন করা। নতুন করে এই তিনকোটি মানুষকে কেন আমরা আবার অক্ষর শেখাতে যাবো? তাদেরকে আমরা কৃষিকাজ, মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেবো।
সচিব আসিফ-উজ-জামান বলেন, দেশে জিপিএ-৫ এর বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গুণগতমান ওই পর্যায়ে যায় নি। আমাদেরকে আগে প্রাথমিক শিক্ষায় সবচেয়ে জোর দেওয়া দরকার। ভিত্তি ভালো না হলে উচ্চশিক্ষায় ভালো ফল আসবে না।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা সর্বমোট ১১৩টি মৌলিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। যা থেকে উঠে আসে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা, শিক্ষাক্ষেত্রে করণীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রের সম্ভাবনা। এছাড়াও গবেষণাধর্মী চারটি থিম পেপারও সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস