২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বরিশাল বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৩২৭ জন।
মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ বছরে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ২২৫ জন, কিন্তু গত বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৪৫ হাজার ৮২২জন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ হাজার ৪৯৬ জন ছেলে এবং ৩০ হাজার ৮৩১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী রয়েছে। মেয়ে পরীক্ষার্থীর চেয়ে ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫১৭ জন জিপিএ উন্নয়নে, ১৭ জন প্রাইভেট ও অনিয়মিত ১৩ হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এবার বরিশাল জেলায় ২২ হাজার ৮৭২ জন, ঝালকাঠি জেলায় ৪ হাজার ৭৮৩ জন, পিরোজপুরে ৯ হাজার ৩৮ জন, পটুয়াখালীতে ১১ হাজার ২৩০ জন, বরগুনায় ৬ হাজার ৪৮৪ জন ও ভোলায় ৮ হাজার ৯২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ৩শ’ ৩২টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৯৪২ জন, মানবিক বিভাগে ৩৩ হাজার ৫৭৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৬ হাজার ১৮০ জন রয়েছে। যারা ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে।
সকালে সরকারি বরিশাল মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, প্রথমদিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় পৌনে ১ ঘণ্টা আগে থেকেই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করে। গেট থেকেই নিয়মমতো চেকিং শেষে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে যায় শিক্ষার্থীরা। কলম, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসসহ কোনো ধরনের কাগজপত্রও ভেতরে নিতে দেওয়া হচ্ছে না।
কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসবিহীন নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে পরীক্ষার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৮টি বিশেষ টিম ও ২০টি সাধারণ টিম বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে তাদের নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এমএস/আরআর