সোমবার (২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd পাওয়া যাবে।
ঝরেপড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলা/ওয়ার্ড ভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
এবার বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।
দেশের ৭ হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পরীক্ষা ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ ৪ হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়ীতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন ছিলো।
ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। প্রাথমিক জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ২৩ জন শিক্ষার্থী।
উত্তীর্ণদের মধ্যে সাধারণ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি দেওয়া হয়। সাধারণদের ক্ষেত্রে ২২৫ টাকা এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থী ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা ভোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এমআইএইচ/জিপি