দায়িত্ব অবহেলার কারণে মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পরীক্ষা কমিটি। তাদের অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (০২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত নাটোরের গুরুদাসপুর বিলচলন শহীদ শামসুজ্জামান সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় নিয়মিত ৩৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।
গুরুদাসুপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনির হোসেন জানান, নতুন সিলেবাসের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। এসময় পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন ওই কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো. লুৎফুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রিতা মুনি ও পর্দাথবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আখের আলী।
বিলচলন শহীদ শামসুজ্জামান সরকারি কলেজ কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (০২ এপ্রিল) এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় উপজেলার ১০টি কলেজের নতুন ও পুরনো মিলে মোট ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের ৩০১ নম্বর কক্ষে ৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২০১৬ সালের পুরনো সিলেবাসের ছিলেন ১৫ জন এবং এ বছরের নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩৬ জন। দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র বিলির সময় পুরনো সিলেবাসের ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র ভুল করে নতুন সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দেন। ওই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে বিষয়টি তাদের নজরে এলে হৈচৈ পড়ে যায়। ভুক্তভোগী ১৫ পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার মো. আনোয়ারুল হককে অবহিত করলে তিনি ওই পরীক্ষার্থীদের নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই ১৫ পরীক্ষার্থীর রেজাল্টে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেজন্য খাতাও পৃথকভাবে দেখা আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এসআই