এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।
অভিযোগে জানা যায়, গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা পুনরায় ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়।
সোমবার (০২ এপ্রিল) এ সাত পরীক্ষার্থী লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হলে তাদের ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন দেওয়া হয়। প্রথম দিকে কেন্দ্র সচিবকে বিষয়টি অবগত করা হলে তাদের চাপে এ প্রশ্নেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে অন্য কেন্দ্রের সহপাঠীদের মাধ্যমে জানতে পারেন অন্যসব কেন্দ্রে ২০১৭ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। পরে তারা বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসককে মোবাইল ফোনে অবগত করে প্রতিকার দাবি করেন।
মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় এসব পরীক্ষার্থীকে ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে সাত পরীক্ষার্থী এ ভুলের প্রতিকার চেয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ ও ২০১৭/১৮ সালের সিলেবাসে প্রশ্নের মানবন্টনে ভিন্নতা রয়েছে। ২০১৬ সালের সিলেবাসে নৈবত্তিক ৪০ ও রচনামূলক ৬০ এবং ২০১৭/১৮ সালের সিলেবাসে নৈবক্তিক ৩০ ও রচনামূলক ৭০ নম্বর। প্রশ্ন যাই হোক ফলাফলে প্রশ্নের মানবন্টনে তাদের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা দাবি করেন।
পরীক্ষার্থী আল আমিন ও হাবিবুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, খাতা মূল্যায়নের সময় প্রশ্নের মানবন্টনে তাদের ফলাফলে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমেই ভুল প্রশ্নের প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কেন্দ্র সচিব বলেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। বিষয়টি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। কিন্তু তা কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে বলে দাবি করেন পরীক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর কেন্দ্র সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, প্রশ্ন একই তাই সমস্যা হবে না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরবি/