ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাহেদ ইসলাম ওরফে আল আমিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানি’র করার অভিযোগে শাহেদ ইসলাম ওরফে আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আল-আমিনেকে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আল আমিনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় ফেসবুকে। পরিচয়ের কয়েকদিন পরে, সোমবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের সামনের মাঠে তাদের দেখা হয়। এসময় আল আমিন সেই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে ওই ছাত্রী তাকে বাধা দেয়। পরের দিন সন্ধ্যায় মেয়েটি আল আমিনকে ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দেখা করতে এলে সেই ছাত্রীর সঙ্গে থাকা বিভাগের সহপাঠি এবং সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে।

পরে প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে আল-আমিনকে গণপিটুনি থেকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করে আল আমিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বাংলানিউজকে বলেন, আল আমিন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। এ ঘটনা যৌন নিপীড়নের পর্যায়ে পড়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল দেখবে।  

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি ভঙের কারণে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় সে যাতে সর্বোচ্চ সাজা পায়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

আল আমিন এর আগেও ৪৬তম ব্যাচে জাবিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এক ছাত্রীকে উপাচার্য কোটায় ভর্তি করানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানায়। ওই ছাত্রী তার কথায় বিশ্বাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে এক বছর ক্লাস করার পর পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় জানতে পারে, সে আসলে জাবির শিক্ষার্থীই নয়।  

ভর্তি জালিয়াতির এই ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আল-আমিনকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।