প্রশাসনের ভয়ে কোচিং ক্লাস বন্ধ রাখলেও অফিস খোলা রেখে ভর্তি কার্যক্রম চলছে জোরেশোরে। তবে, কয়েকটি কোচিং সেন্টারে আইইএলটিএস ও স্পোকেন ইংলিশ কোর্স চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) যশোর শহরে খোলা ছিলো সাইফুরস, ওরাকল, কনফিডেন্স, পিকাসো, সৃজনশীল, উন্মেষ-উদ্ভাস, বিসিএস পরিক্রমা, ফ্রি ডক্টরস, ডেল্টা, বস স্পোকেন, ইউসিসি, প্রাইমেট, ওমেকা, সুপ্রিমসহ প্রায় সবগুলো কোচিং সেন্টার। এসব কোচিং সেন্টারে গিয়ে ক্লাস নিতে দেখা না গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিংয়ে ভর্তি করানোর জন্য নানা ধরনের ফন্দি-ফিকির চলে। কোনো কোনো কোচিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভুয়া ছবি দিয়ে চটকদারি বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে।
এদিন বিকেলে শহরের কোচিংপাড়া বলে খ্যাত জজকোর্ট মোড় থেকে পৌরপার্ক এলাকা, সরকারি এমএম কলেজের দক্ষিণ গেইট এলাকা, মুজিব সড়ক ও রেলগেইট এলাকায় অবস্থিত কোচিংগুলোতে ঘুরে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং ক্লাসে যেতে দেখা যায়নি।
বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা এবং সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয় খতিয়ে দেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এ প্রেক্ষিতে পরীক্ষা শুরুর চার দিন বাকি থাকতেই সব ধরনের কোচিং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত এসএসসি পরীক্ষার সাত দিন আগে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশনা বেশিরভাগ কোচিং সেন্টারই মানেনি। সেই পরীক্ষার বেশির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ২৭ মার্চের এক পরিপত্রে কোচিং বন্ধ রাখার চুড়ান্ত নির্দেশনায় সব ধরনের কোচিং বন্ধের বিষয়ে জানানো হয়। বলা হয়, ‘২০১৮ সনের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), আলিম, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, এইচএসসি ভোকেশনাল এবং এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল কোচিং সেন্টার ২৯.০৩.২০১৮ তারিখ হতে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ’
এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নজর রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা না মেনে কোচিং চালু করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
ইউজি/এমজেএফ