সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, কোটার শূন্য পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, চাকরি পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একবারের বেশি নয়, কোটায় বিশেষ নিয়োগ বন্ধ এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অভিন্ন করতে হবে।
এর আগে, সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আসেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাস্তার দু’পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে শহর অভিমুখী ও বর্হিগামী যানবাহনগুলোকে বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দেয় পুলিশ। বর্তমানে বেলপুকুর বাইপাস ঘুরে যানবাহন চলাচল করছে। তবে সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসগুলো ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ মুন্নাফ বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্লাস বর্জন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ থাকবে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আন্দোলনরতরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। তবে সড়ক অবরোধ করায় যানবাহন ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। আন্দোলনরতরা সহিংস হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ৮টা এবং রাত দেড়টায় দুই দফা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১৮
এসএস/আরআর