আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১১ এপ্রিল) কোটা পদ্ধতিই বাতিল করার ঘোষণা দেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান জানাতে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত সময় নেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা টিএসসি থেকে তাদের অভিমত জানাতে পারেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল ঢাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। রাতে শিক্ষার্থীদের সরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকে যান।
এরমধ্যেই রাতে তাণ্ডব চালানো হয় ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে। ভবনের ভেতরে ভাঙচুর-লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয় বাইরে থাকা গাড়িতেও।
এ কর্মসূচি চলে পরদিন সোমবারও (৯ এপ্রিল)। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাতে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের কবি সুফিয়া কামাল হলে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠলে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। মধ্যরাতেই রাস্তায় নেমে পড়েন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।
পরদিন বুধবার (১১ এপ্রিল) সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সংগঠনটির প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানায়, প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দেওয়ার কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
সে অনুযায়ী বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিল করার ঘোষণা দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত জানাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নেন।
এদিকে, ভিসির বাসভবনে হামলাসহ আন্দোলনকালে সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে শাহবাগ থানায়। এরমধ্যে একটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। বাকি চারটি করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, ১২, ২০১৮
এমএসি/এসকেবি/এইচএ