সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ্ই দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর।
হাসান আল মামুন বলেন, আমি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি। আমার বাবা ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে আমার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলুন।
নুরুল হক নূর বলেন, একটি কুচক্রী মহল আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ছাত্রসমাজের ক্ষোভের কথা বুঝতে পেরে দাবি মেনে নিয়েছেন, তখন একটি মহল এটি বানচালের চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারী ও নেতাদের হযরানি করলে ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
পুলিশি হামলায় আহত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান নূর।
রাশেদ খান বলেন, পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি ২০১২ সালে হল ছেড়েছি। অথচ আমি ভর্তি হয়েছি ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে। আর ক্লাস শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। তাহলে আমি কিভাবে ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫১২ নম্বর রুমে থাকি? এছাড়া প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল করা হয়েছে। আমার বিপক্ষে দেওয়া সব বক্তব্যই মিথ্যা। আপনারা প্রমাণ দিন এসব তথ্যের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় 'কোটা আন্দোলনের একজন শিবিরের সক্রিয় কর্মী' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য ওই দৈনিককে সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। নইলে মঙ্গলবার থেকে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাজ পত্রিকাটি বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এসকেবি/আরআর/জেএম