সোমবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
৩ আন্দোলনকারীকে আটক নয়, তথ্যের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ
এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ অধিকার পরিষদের তিন নেতাকে ডিবি পুলিশ নিয়ে যায়।
নূরুল হক নূর অভিযোগ করে বলেন, ‘ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে এসে আজ আমরা হত্যার হুমকি পাচ্ছি। অন্যদিকে পুলিশও আমাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তও মেনে নিয়েছি। তারপরও নাটকীয়ভাবে আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চোখ খোলার পর দেখি আমরা ডিবি কার্যালয়ে। পরে দরকার হলে আবারও আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা। ’
এ সময় তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমার আব্বাকে (নবাই বিশ্বাস) তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে পুলিশ। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই বলেই কি আমাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে? আমাকেসহ আমার আত্মীয়-স্বজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আশঙ্কা করছি তাদের ওপর আক্রমণ হতে পারে। সরকারের কাছে আমার আব্বাকে আটক করার বিচার চাই। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় আছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছি বলেই কি আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে?’
ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা তাদের সঙ্গে গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতাম। কিন্তু এভাবে চোখ বন্ধ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কেন?’
সংবাদ সম্মেলনর পর শিক্ষার্থীদের এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রাজু ভাস্কর্য, স্মৃতি চিরন্তন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এসকেব/জিপি/জেএম