মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম নিজ কার্যালয়ে অফিস করতে এলে তাকে বাধা দিলে দুই গ্রুপের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
ধর্মঘট পালনকারী শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ জানিয়ে সোয়া ১১টার দিকে বাসভবনের দিকে চলে যান উপাচার্য। পরে ভিসিপন্থি শিক্ষকরা ধর্মঘটকে অহেতুক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ ও অপরাধী শিক্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান শরীফ এনামুল কবির গ্রুপের শিক্ষকরা।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের যেমন আন্দোলন করবার অধিকার রয়েছে তেমনি অন্যদের আন্দোলন না করার অধিকারও রয়েছে। তাছাড়া কাউকে আগে থেকে না জানিয়ে সরাসরি সর্বাত্মক ধর্মঘটে গিয়েছেন তারা। আজকে সিলেকশন বোর্ড ছিল। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। তাদের ফেরত যেতে হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে তাদের আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ করতে আমি অফিস না করে চলে এসেছি।
এর আগে ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় পরিবহন ডিপোর সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের অনুসারী শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ডাকা ধর্মঘটের অংশ হিসেবে পরিবহন ডিপোতে তালা দেওয়া এবং তাতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমজেএফ