শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে মধ্যরাতে অভিভাবক ডেকে এনে বের করে দেয় হল প্রশাসন।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সকালে।
ড. তানজীমউদ্দীন তার পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তাহীনতা, আবাসিক হলগুলোতে বিরাজমান শিক্ষাবিরূপ, শিক্ষা অনুপযোগী আর ভীতিকর পরিবেশের প্রতিবাদে এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার দাবিতে রোববার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আমরা কয়েকজন শিক্ষক দাঁড়াবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
গত ১৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর খোলাচিঠি দেন তানজীমউদ্দীন খানসহ ১৯ শিক্ষক।
রাতে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অনেকে প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান লিখেছেন, গভীর রাতে আমার ছাত্রীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই। ধিক্কার জানাই।
অন্যদিকে সাদা দলের শিক্ষকরা এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানে প্রশাসনের সমালোচনা হচ্ছে। ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন অন্তর একাই হলগেটে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রোকেয়া হলের এক অনুষ্ঠানে এলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান চলে যাওয়ার সময় চার শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘সুফিয়া কামাল হলের মেয়েদের বের করে দেওয়া হলো কেন’ ‘রাতের আঁধারে হামলা কেন’ ‘ক্যাম্পাস কোনো গ্যাস চেম্বার নয়’ ‘পুলিশমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এসকেবি/এএ