কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক বিভাগের ডিন ড. মো. মুহসিন উদ্দীনকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়াও এ কমিটিতে লাইব্রেরিয়ান মো. শাখাওয়াত হোসেন ও পরিচালক আইটি রাহাত হোসেন ফয়সাল রয়েছেন।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ববির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. হাসিনুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আর্থিক সংক্রান্ত প্রয়োজনে অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক বরুন কুমার দের মোবাইল ফোনে তিনি কয়েকবার কল দেন। কিন্তু বরুন কুমার দে ওই ফোন কল রিসিভ কিংবা ফিরতি কলও দেননি। ফোনে না পেয়ে ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে অধ্যাপক হাসিনুর রহমান অর্থ শাখায় গিয়ে বরুন কুমার দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কথা বলতে না পেরে বরুন কুমারকে তার কক্ষে জরুরি কথা শোনার অনুরোধ জানান।
বিকেল ৪টার দিকে বরুন কুমার ড. হাসিনুর রহমানের কক্ষে গেলে তিনি ফোন রিসিভ না করার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বরুন কুমার তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। বরুন কুমার দে নিজেকে কোনো শিক্ষকের অধিন্যস্ত নয় বলে দম্ভোক্তি করেন। বিষয়টি উপাচার্যকে অবহিত করার কথা বললে তিনি আরও ক্ষুব্দ হন। এ সময় ওই কক্ষে থাকা অন্যান্য শিক্ষকরা বরুন কুমারকে শান্ত করেন।
পরে ড. হাসিনুর রহমান এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে এবং শিক্ষক সমিতি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালে সহকারী পরিচালক বরুন কুমার দে’কে প্রাথমিকভাবে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই হিসাব শাখার অপর সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে করে আপত্তিকর পোস্ট দেয় বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, ড. হাসিনুর রহমান একজন জেষ্ঠ্য এবং সর্বজন শ্রদ্বেয় একজন শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি বৈঠক করেছেন এবং উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ড. হাসিনুর রহমানের সঙ্গে যা হয়েছে তার সুষ্ঠু সমাধান চান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এমএস/এএটি