শনিবার (১২ মে) পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত চলে এ অধিবেশন।
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোটের ব্যানারে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনের শুরুতে উপাচার্যের আসন গ্রহণের আগে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ প্রতীকী সিনেট অধিবেশনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
এ সময় ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সিনেটের তলবি সভা ডাকার জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪৬ জন সিনেট সদস্য উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন।
সিনেট কার্যপরিচালনা বিধি অনুসারে চিঠি পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে সিনেটের তলবি সভা আহ্বান করার কথা। কিন্তু ৯৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য সভা আহ্বান করেননি। তাই আজ এই প্রতীকী সিনেট অধিবেশন।
বক্তব্য শেষে প্রতীকী উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। প্রতীকী সিনেট অধিবেশনে প্রতীকী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান। এছাড়া প্রতীকী উপ-উপাচার্য এম শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমান এবং রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন মো. শাহিদুর রহমান পরাগ।
অধিবেশনের প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতীকী উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার। এরপর প্রতীকী উপাচার্য স্বাগত বক্তব্য দেন। উপাচার্যের বক্তব্যে পরে শুরু হয় উপাচার্যের ভাষণের উপর আলোচনা, প্রশ্ন ও প্রশ্নত্তোর পর্ব। এতে প্রতীকী সিনেটররা ও প্রতীকী উপাচার্য অংশ নেন। প্রতীকী সিনেটররা উপাচার্যকে নানা প্রশ্ন করেন এবং প্রতীকী উপাচার্য এসব প্রশ্নের জবাব দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, 'আমি অ্যাক্ট বিরোধী কোনো কাজ করেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরামর্শক্রমে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাকে যোগ্য মনে করে আইন অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছেন। সে অনুয়ায়ী আমি সব ধরনের নিময় মেনেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনা করছি। এভাবে তারা প্রতীকী সিনেট অধিবেশন করে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছে? সে বিষয়ে আমরা বোধগম্য নয়'।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এএটি