পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের কাবুল হোসেনের মেয়ে কাকলি আক্তার। মা রিনি বেগম গৃহকর্মীর কাজ করেন।
ট্রাস্ট কলেজের পক্ষ থেকে কাকলির পড়ালেখা ও হোস্টেল খরচ বহনের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে অধ্যয়নের জন্য দুই বছরের যাবতীয় খরচ ট্রাস্ট কলেজ থেকে তাকে সম্পূর্ণ ফ্রি দেওয়া হবে।
স্বপ্ন দেখেন পড়ালেখা করে চিকিৎসক হবে কাকলি। বাবা-মায়ের কষ্ট ঘোঁচাতে সমাজে আলোকিত মানুষ হতে চায় সে। কিন্তু অভাব-অনটনে কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অনেক কষ্টে এসএসসি পাস করলেও কলেজে পড়ালেখার খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। সম্প্রতি একটি মিডিয়ায় কাকলির বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রচার হলে ট্রাস্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ তার পাশে দাঁড়ায়।
ট্রাস্ট কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, কাকলির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে আমরা তার পাশে দাঁড়িয়েছি। কলেজে পড়ালেখা ও হোস্টেলে থাকা-খাওয়ার সম্পূর্ণ খরচ ট্রাস্ট কলেজের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। কাকলি আক্তার দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও মেধাবী হওয়ায় আমরা তার দায়িত্ব নিয়েছি। উচ্চমাধ্যমিকের পরও তার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকবে ট্রাস্ট কলেজ।
এমন অদম্য মেধাবীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে ট্রাস্ট কলেজ। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। অর্থের অভাবে পড়া-লেখা থেমে যেতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এএ