রোববার (২৭ মে) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
আহত সোহেল বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আন্দোলনে যাতে না যাই এজন্য তারা এর আগেও নানাভাবে আমার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। গত বুধবার আমার পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে আমি বের হই। তখন থেকেই ছাত্রলীগের বাবুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আমাকে অনুসরণ করছিলেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সোহেল বলেন, পথরোধ করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গলির ভেতর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শোভন, জামালপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক এস কে মিরাজ, পরিসংখ্যান বিভাগের মাহফুজ ও বাবু আমার উপর হামলা করেন।
‘তারা আমার নাকেমুখে কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় আমার নাকের নিচে ঠোঁটের উপরের অংশ ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আর কয়েকজন রড ও লাঠি দিয়ে আমার পায়ে ও পিঠে আঘাত করতে থাকেন। পরে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে তারা চলে যান’।
হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিচার না করলে ছাত্রসমাজ আবারও রাজপথে নামবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুখ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস