সোমবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বাংলানিউজকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় সাবেক রেজিস্ট্রারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় রিফাত আমিনকে কম্পিউটার অপারেটর থেকে টেকনেশিয়ান করা হয়েছে।
২০১৬ সালের পহেলা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি স্মরণিকার ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ রেজাউর রহমান ‘স্মৃতি অম্লান’ নামে একটি নিবন্ধ লেখেন।
সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বর্ণনা দেন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জেনারেল জিয়াকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন।
পক্ষান্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখা হয় বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।
ছাত্রলীগের কর্মীরা ঐতিহাসিক তথ্যের এহেন বিকৃতির প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপাচার্য ওই স্মরণিকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি এহেন কর্মের জন্য রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। তিনি তার আগের দায়িত্ব টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে ফিরে যান। তিনি বিএনপি আমলে উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়া অধ্যাপক এসএম ফায়েজের সময়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসকেবি/এএ