বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। বুধবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি সামলাতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল (কাঁদানে গ্যাস) ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের ওপর আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এরই একপর্যায়ে একদল বিক্ষুদ্ধ ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোবরা গ্রামবাসীর দু’টি দোকান ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালীন শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসির ছোড়া ইটের আঘাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলামসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহতসহ অন্তত ২৫ জন ছাত্র-জনতা আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শুধু ফুটবল খেলাকে নিয়ে নয়, পুকুর পাড়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীকে বহিরাগতরা উত্ত্যক্ত করে। ওই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্ররা ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া দু’টি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এসব ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ও গোবরা গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
জিপি