ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত

রাজশাহী: পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদের গলায় ছুরিকাঘাত করেছে বহিরাগত এক যুবক।

আহত ইমতিয়াজ বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোববার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় আরিফ ইশতিয়াক রোমেল নামে বহিরাগত একজনকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। সে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকার বাবলুর রশীদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার (২০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ইমতিয়াজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন সারোয়ার বঙ্গবন্ধু হলের পাশে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।  

এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগত কয়েকজন যুবক সেখানে আসেন। একপর্যায়ে ইমতিয়াজের গলায় আচমকা ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরমধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে আরিফকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের সামনেই আরিফকে বেধড়ক মারধর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আরিফকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।  

আরিফকে বাঁচাতে গিয়ে সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম, আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার, পুলিশের মতিহার বিভাগের ডিসি সাজিদ হোসেন ও মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম শরীরে আঘাত পান। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আরিফকে তাৎক্ষণিকভাবে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আরিফকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আরিফকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, আরিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরিফকে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক আঘাত পেয়েছেন। আরিফকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এসএস/পিএম/এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।