ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বুয়েটের আন্দোলনকারীদের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বুয়েটের আন্দোলনকারীদের

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতার জন্য তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। সেখানে কথা বলেন ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সায়েম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম অন্তরা তিথি।

সায়েম বলেন, গতকাল (সোমবার, ১৪ অক্টোবর) বুয়েট ক্যাম্পাসে পূর্ণ নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের ১০ দফা দাবি ছিল, এর মধ্যে ১, ৪ ও ৫; এই তিনটা দাবি ছিল আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপরে। ইতোমধ্যে অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, ১৬১ ও ১৬৪  ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অনেকের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি বিশেষভাবে তৎপর ছিলেন বলেই এত দ্রুত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে এবং সুষ্ঠুভাবে বিচারকার্য সম্পাদন করার মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

এসময় বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক দাবি মেনে নোটিশ দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন সায়েম।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের। এ হত্যাকাণ্ডের পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকে ১০ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল।

সায়েম বলেন, বুয়েট প্রশাসন চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে সদিচ্ছা ইতোমধ্যে দেখিয়েছে। আমরা সেই সদিচ্ছার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে আগামীকাল (বুধবার, ১৬ অক্টোবর) আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিতে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে গণশপথে অংশ নেবো। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।