ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবিতে হামলার ঘটনায় পুনঃতদন্ত কমিটি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
বশেমুরবিপ্রবিতে হামলার ঘটনায় পুনঃতদন্ত কমিটি  গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা ও ক্যাম্পাস সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে। 

রোববার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যার স্মারক নম্বর বশেমুরবিপ্রবি/র/জ.প্র/১৫৩(২)/১০৬৯(০৭),তাং২০.১০.২০১৯।

 

ওই কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  

ওই অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ২১ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে।  

কমিটির সদস্যরা হলেন- সিএসই বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক ড. সালেহ আহমেদ, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, বাংলা বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক মাহবুবা উদ্দিন ও প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ।  

এছাড়া শিক্ষার্থী ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিক শামস জেবীনকে মারধরের ঘটনায়ও তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রফিকুন্নেসা আলীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে।  

অফিস আদেশপ্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে  কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসার পথে বহিরাগতদের হামলার শিকার হন। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।  

এ ঘটনায় বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও আইন অনুষদের সাবেক ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি রেজিস্টারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিক শামস জেবীনের ওপর হামলায় ঘটনায়ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আলোরমুখ দেখেনি।  

গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভিসি প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন।

প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় পৃথক দু্ইটি পুনঃতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দুই কমিটিকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ অক্টোবর ২১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।