ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনলাইনে মিলবে ইউজিসির গবেষণা সহায়তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
অনলাইনে মিলবে ইউজিসির গবেষণা সহায়তা অনলাইনে মিলবে ইউজিসির গবেষণা সহায়তা।

ঢাকা: এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা সহায়তা দেবে অনলাইনে। এ লক্ষ্যে সফটওয়্যারও চালু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ ইউজিসিতে আয়োজিত ‘অনলাইন সাবমিশন ফর রিসার্চ গ্র্যান্টস’ সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।

ইউজিসি ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদনে ‘গবেষণা সহায়তা মঞ্জুরী’ ক্লিক করে সেবাগ্রহীতা কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারেন।

এ জন্য সেবা প্রত্যাশীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে।

ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিদেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্স/সেমিনার/সিম্পোজিয়াম/ওয়ার্কশপ এ অংশ নেওয়া এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য যাতায়াত খরচ, দেশের অভ্যন্তরে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স/সেমিনার/সিম্পোজিয়াম/ওয়ার্কশপের জন্য এবং এমফিল/পিএইচডি/পোস্ট-ডক্টোরাল গবেষণায় এ সহায়তা দিয়ে থাকে।

অনলাইন সাবমিশন ফর রিসার্চ গ্র্যান্টস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইউজিসির প্রাতিষ্ঠানিক এ সব সেবা সহজে পাওয়া যাবে। গবেষণা সহায়তা মঞ্জুরী খুব কম সময়ে ও সহজে দেওয়া যাবে। আবেদনকারী গবেষণা সহায়তার আবেদনটি সর্বশেষ কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে পারবেন। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও গবেষণা সহায়তার পরিমাণ জানা যাবে।

ইউজিসি সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। সভায় কমিশনের বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুখ ও আইএমসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান অনলাইন সাবমিশন ফর রিসার্চ গ্র্যান্টস সফটওয়্যারের কার্যকারিতা ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, অনলাইন সাবমিশন ফর রিসার্চ গ্র্যান্টস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে কাউকেই আর ইউজিসিতে গবেষণা সহায়তা মঞ্জুরীর জন্য আসতে হবে না। এর মাধ্যমে সেবা দ্রুত পাওয়া যাবে। এটি ইউজিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বাড়াবে এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করবে।

সফটওয়্যারটির সুফল পেতে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান। এসময় তিনি উচ্চশিক্ষার সুফল পেতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও ইউজিসির সেবা জনবান্ধব করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদেরকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব জায়গায় প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সফটওয়্যার তৈরি এবং এর মাধ্যমে সহজে সেবা দেওয়া যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে তিনি পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।