ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে জুতা পায়ে বেদিতে বেরোবি ভিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে জুতা পায়ে বেদিতে বেরোবি ভিসি

রংপুর: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে জুতা পায়ে ফুল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অস্থায়ী বেদিতে উঠেছেন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, প্রক্টর, মুখপাত্র ও জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুরজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগ তুলেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) প্রশাসনিক ভবনের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত জাতির জনকের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে এ কাণ্ড ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার এক যুগ হলেও বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রতিকৃতি স্থাপন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ফলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ফুল দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ট্রেজারার হাসিবুর রশীদ, প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমান, মুখপাত্র ও জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান জুতা পায়ে অস্থায়ী বেদীতে উঠেন। এরই মধ্যে জুতা পায়ে বেদিতে ওঠা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে এমন উচ্চমানের মানুষদের কাছ থেকে এ রকম ঘটনা জাতির জনককে সুস্পষ্ট অবমাননা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা যদি এমন করেন তাহলে জাতি কি শিখবে তাদের কাছে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জাতির জনকে অবমাননার শামিল। হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করলে তারা এটা করতে পারতেন না। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফরিদ উল ইসলাম এ ঘটনাকে জাতির জনককে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবাই মিলে জুতা পায়ে ফুল দিতে গেলো আর কেউ দেখলো না? 

বিষয়টি নিয়ে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। দেশের উচ্চবিদ্যাপিঠের অভিভাবকদের কাছ থেকে এরকম ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।