ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

র‌্যাগিং: সাতক্ষীরা মেডিক্যালের ১৮ শিক্ষার্থীকে শাস্তি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
র‌্যাগিং: সাতক্ষীরা মেডিক্যালের ১৮ শিক্ষার্থীকে শাস্তি 

সাতক্ষীরা: র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ৭ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১১ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ মার্চ) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃংখলা কমিটির জরুরি সভায় তাদের বহিষ্কার ও অর্থদণ্ডের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জন ছাত্র ও ৪ জন ছাত্রী রয়েছেন।

মেডিক্যাল কলেজের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসের ৯, ১০, ১১ ও ১২ তারিখে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দেয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষর্থীরা। নতুন এসব শিক্ষর্থীদের র‌্যাগিংয়ে বাধ্য করে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয়।  

বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। র‌্যাগিংসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এএইচ এসএম কামরুজ্জামান ও সদস্য সচিব করা হয় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খান গোলাম মোস্তফাকে।

তদন্ত কমিটি বিষয়টির দীর্ঘ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের বিষয়ে ৭ শিক্ষার্থীসহ ১১ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ৯ মার্চ মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করা হয়।

পরবর্তীতে ১৬ মার্চ কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা আহবান করা হয়।

সভায় তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার ও ১১  শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়ে সর্তক করা হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সাহা, জয় সরকার, মোহাম্মদ হানিফ, মাহফুজা ইসলাম দিনা, প্রেয়সী রাণী রায়, ফারহা শামান্ত রহমান ও শারমিন ফাহরিয়া।

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে থেকে লেখাপড়া করতে পারে তার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।