ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সংস্কার অসম্পূর্ণ রেখে খুলছে রাবির ১৭ হল

মঈন উদ্দিন, রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
সংস্কার অসম্পূর্ণ রেখে খুলছে রাবির ১৭ হল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি): আগামী ১৭ অক্টোবর খুলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল। আর মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দীর্ঘ ছুটিতে নষ্ট হয়ে গেছে হলগুলোর দেয়ালের রং। অকেজো হয়ে পড়েছে পানি ও বিদ্যুতের লাইন। চারপাশটাও নোংরা আবর্জনাময়।

বলা যায়, কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কিছু সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ হল খোলার প্রস্তুতি। সংস্কার কাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও এখনও অধিকাংশ হলে তা করা হয়নি। ফলে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি ও সংস্কার ছাড়াই খুলছে রাবির ১৭টি আবাসিক হল।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদ জানিয়েছে, হল খোলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে হলে উঠতে পারবেন। তাদের দাবি, হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দেয়ালে নতুন রং করাসহ ছোট বাজেটের কয়েকটি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বড় বাজেটের কাজে দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখা জানায়, ১৭টি আবাসিক হলে নতুন রং করা, পানি ও বিদ্যুৎ লাইন মেরামত, নতুন আসবাবপত্র সংযোজনসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজের প্রয়োজন। এসব কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে পাঁচ কোটি ১০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তর সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষদের কাছ থেকে সংস্কারের জন্য চাহিদাপত্র আহ্বান করেছে। সেই চাহিদাপত্র যাচাই করে প্রতিটি হলে অর্থ বণ্টন করা হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ী আহ্বান করা হচ্ছে দরপত্র।

ছবি: বাংলানিউজ

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের মধ্যে মাত্র ৮টির সামনে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসানো হয়েছে। কয়েকটি হলের ভেতরে রং করা হচ্ছে। চলছে সংস্কার কাজ। তবে বেশির ভাগ হলে এখনও সেভাবে কোনও কাজ শুরু হয়নি। আগামী দুই দিনে হলগুলোর সব কাজ করা সম্ভব নয়। কয়েকটি হলের সংস্কার কাজের জন্য এখনও দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব হলের দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটির দরপত্রের কার্যাদেশ এখনও মেলেনি।

জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জুলকার নায়েন বাংলানিউজকে বলেন, হলের ভেতরে রং করা ও সংস্কারের কাজগুলো বড় বাজেটের। তাই একটু দেরি হচ্ছে। এজন্য হল প্রাধ্যক্ষরা অর্থ ও বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা জানিয়েছেন। সে অনুসারে প্রতিটি হলে দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। কিছু হলে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করেছেন। আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে আরও কিছু দরপত্র সম্পন্ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়মানুযায়ী দরপত্র আহ্বানের পর প্রায় ২১ দিন সময় দিতে হয়। তারপর ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। বেশিরভাগ হলের দরপত্র সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি হলগুলোর দরপত্রের প্রক্রিয়া আগামী ১৮ অক্টোবর সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।