ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে মানি রিসিপট ছাড়াই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা প্রশ্ন করলেও পাচ্ছেন না সদুত্তর।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ভর্তির শেষ দিন। উত্তরাঞ্চলের শীর্ষ ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য মাত্র ২৫০টি আসন। এর বিপরীতে অনলাইনে আবেদনের জন্য ফরম বিক্রি হয়েছে।  

অভিভাবকরা জানান, সন্তানকে ভর্তি করতে এসে দেখি এখানে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। রশিদে লেখা তিন হাজার ১৭০ টাকা থাকলেও নেওয়া হয় তিন হাজার ৪০০ টাকা। এর কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, এটা জানার প্রয়োজন নেই।  

একইভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, আমি একই প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫সহ উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার কাছেও বাড়তি ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। যা রশিদে উল্লেখ নেই। প্রশ্ন করলে প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়, ৪০০ টাকা ফরম বাবদ ও বাকি ১০০ টাকা এসএসসি পরীক্ষার প্রশংসাপত্রের জন্য নেওয়া হলো। তবে এর কোনো লিখিত রশিদ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটি থেকে। এভাবে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রায় সব অভিভাবকের।  

এ ব্যাপারে কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম মো. ফারুকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বুঝতেই তো পারছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। অস্বীকার করি না আমরা নিচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের মাস্ক দিচ্ছি, প্রসপেক্টাস দিচ্ছি, এজন্য বাড়তি কিছু নেওয়া। প্রশংসাপত্রে টাকা নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ১১৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০৮ জন ভর্তি হয়েছে এরই মধ্যে। যাদের সবার কাছে প্রশংসাপত্র বাবদ ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। নিজস্ব শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। রশিদ ছাড়া টাকা সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।