ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিটি করপোরেশন নির্বাচন

গাজীপুরে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ হাজার পোশাকধারী সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
গাজীপুরে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ হাজার পোশাকধারী সদস্য

গাজীপুর থেকে: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন-২০২৩ এর ৫৭ টি ওয়ার্ডেই যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রায় সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিরাপদে ও সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে পারেন সেজন্য পর্যায় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

সেই লক্ষ্যে এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তায় থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর  ১৩ হাজারের বেশি পোশাকধারী সদস্য। এদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে মেতায়েন থাকবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গাজীপুর সিটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সর্বাত্মক প্রস্তুতি রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।

ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যাবের টহল শুরু হয়েছে। এছাড়াও গোয়েন্দা সদস্যদের কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে ভোট গ্রহণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় র‌্যাবের ৩২টি টিম, আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ১৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেই সঙ্গে পুলিশের ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৫৭টি মোবাইল টিম নিয়োজিত রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুয়ায়ী, গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ)। এসব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তায় ১৩ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা। মূলত সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব ভোট কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচন কমিশনের শনাক্ত  ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী র‌্যাবের ৩২টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জনসহ মোট ৩৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১৫ নং ওয়ার্ডে সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮জন। আর হিজড়া ভোটার ১৮ জন।

এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ হাজার ৪৯৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬ হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসারসহ ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।