ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিসিসি নির্বাচন: নজরদারি বাড়ছে, বিধি মানাতে হুঁশিয়ারি প্রশাসনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
বিসিসি নির্বাচন: নজরদারি বাড়ছে, বিধি মানাতে হুঁশিয়ারি প্রশাসনের ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: সিটি নির্বাচন ঘিরে নগরের প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা চলছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর না পাওয়া গেলেও, মোটরসাইকেল মহড়া দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে।

তবে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেইসঙ্গে নির্বাচনী বিধি মেনে চলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সবাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলবেন। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সচেষ্ট থাকবো। যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে অপরাধ রোধ এবং আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। যারা ভোট নেওয়ার দিন পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেয়াল লিখন বা দেয়ালে পোস্টার লাগানো আচরণ-বিধি লঙ্ঘন। এরকম অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে, অতিসত্বর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা এগুলো অপসারণ করুন, নয়তো বিপুল পরিমাণ অংকের জরিমানা গুনতে হবে।

এদিকে বহিরাগতদের নির্বাচনী কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না জানিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এরইমধ্যে চেকপোস্ট বসিয়েছি, সেখান থেকে বেশ কিছু যানবাহন আটক করেছি। দুইএক দিনের মধ্যে চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা মাস্তানি করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠে আমাদের বিশেষ শাখার পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন। তাই সবাইকে বিধি মেনে চলার জন্য বলছি, বিশেষ করে টাকা-পয়সা দিচ্ছে এমন কাউকে পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে প্রার্থীদের অপমানজনক অবস্থায় পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

নির্বাচনকে ঘিরে চাহিদার থেকে ফোর্স বেশি রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি মোবাইল টিম রাখার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী ৩০ ওয়ার্ডে ৩০টি মোবাইল টিমের প্রয়োজন হলেও আমরা বাড়িয়ে ৪৮টি করেছি। যাতে সবাই নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসতে পারে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র রয়েছে যেখানে আমাদের গাড়ি যাবে না, সেখানে মোটরসাইকেলে মোবাইল টিমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

১২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন ফোর্সের জায়গায় সাতজন দেওয়া হচ্ছে। শুধু সাতজন পুলিশ সদস্যই নয়, আনসার সদস্য মিলিয়ে এসব কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্যকে মিলিয়ে পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখা হবে। সেইসঙ্গে থাকবে স্ট্যান্ডবাই ফোর্সও।

তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের অফিসাররা গিয়েছেন, আমরা নিজেরা ম্যাপ তৈরি করেছি এবং আমাদের কার্যক্রম সাজিয়েছি। যাতে সবাই নিশ্চিন্তে কেন্দ্রে যেতে পারেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হা‌বিব খান বলেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে ভোটারকে কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া এবং তার ভোট নিজের ইচ্ছে মতো যাকে খুশি তাকে দিতে পারে। সেই নিশ্চয়তা আমরা আজ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও গাজীপুরে ইতোমধ্যে এটা করে দেখিয়েছি।

তিনি বলেন, বরিশালসহ আসন্ন চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, আনসারদের পাশাপাশি বিজিবি থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।