ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিলেন নৌকার প্রার্থী গোলাপ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিলেন নৌকার প্রার্থী গোলাপ

মাদারীপুর: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার এমপি প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়া।  

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।

 

একই সময় অভিযোগকারী ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আদালতের ডাকে হাজির হন। দুই প্রার্থীর মুখোমুখি বক্তব্য শোনেন বিচারক। তবে, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেননি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

ঘণ্টা খানেক পর বেরিয়ে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনো ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। বিচারকের কাছে লিখিত বক্তব্যে তা জানিয়েছি। নিয়ম মেনেই নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছি।

এদিকে বিচারকের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে অভিযোগ দাখিলকারী তাহমিনা বেগম বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে বিচারকের সামনে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি নৌকার প্রার্থী। তিনি যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, এটা প্রমাণিত। বিচারকের কাছে ভিডিও ও ছবি আকারে তা উপস্থাপন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, অভিযোগ উঠেছে, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাদারীপুর-০৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং এ আসনের নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছু সময় আগে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে কালকিনি উপজেলা চত্বরে শোডাউন করেন গোলাপ।  

এনিয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. মারুফুর রশিদ খানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন। পরে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে নির্দেশনা দেন।  

শনিবার দুপুরের পর অভিযুক্ত প্রার্থীর হাতে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকাল ১১টায় মাদারীপুর-০৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে। আরেকটি চিঠি পৌঁছে দিয়ে অভিযোগ দাখিলকারীদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।