হবিগঞ্জ: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত নাম ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও দুটি ব্যাংকে তার দেনা রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১১ লাখ ৬১ হাজার।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ব্যারিস্টার সুমনের হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
এ আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেবী চন্দ।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ব্যারিস্টার সুমনের পূবালী ব্যাংকে ৪০ লাখ এবং সাউথইস্ট ব্যাংকে আরও ১০ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। বিপরীতে ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকা তার হাতে নগদ রয়েছে। বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র মিলিয়ে সম্পদ আছে আরও ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকার।
হলফনামা অনুযায়ী পেশা থেকে সুমনের বার্ষিক আয় মাত্র সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে হবিগঞ্জের চারটি আসনে মোট ৪০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সোমবার যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
দেবী চন্দ জানান, হবিগঞ্জ-২ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আশরাফ উদ্দিন ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামাল উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে ত্রুটি থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নেত্রী সায়মা বেগম চূড়ান্তভাবে দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাই তারটিও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
এসআই